গত বছর অব্যহৃত টু-জি ও থ্রি-জি তরঙ্গের নিলাম করতে ব্যর্থ হয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। এরপর সংস্থাটি এ সংক্রান্ত বিধিমালা (গাইডলাইন) সংশোধনের উদ্যোগ নেয়। খুব শিগগিরই নীতিমালাটি প্রকাশ করা হবে।
তবে সংশোধিত নীতিমালাটি বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, নিলামে অংশ নিয়ে নতুন একটি মোবাইল কোম্পানি দেশে কার্যক্রম শুরু করতে পারবে- সে সুযোগ রয়েছে। দেশে চালু ব্রডব্যান্ড ওয়্যারলেস ইন্টারনেট সেবাদাতা (বিডাব্লিউএ) প্রতিষ্ঠানও মোবাইল ফোন সেবা দেয়ার সুযোগ পাবে।
ইত্যেমধ্যে সংশোধন প্রক্রিয়া ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম ও টেলিযোগাযোগ সচিবের অুনমোদন পেয়েছে। এখন বিষয়টির চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য প্রধানন্ত্রীর কাছে পাঠানো হবে বলে মন্ত্রণালয় সূত্র নিশ্চিত করেছে।
নীতিমালা সংশোধনের ফলে সিটিসেল নিলামে অংশগ্রহণের সুযোগ পাচ্ছে। একই সঙ্গে গ্রামীণফোনও সরাসরি নিলামে অংশ নিতে পারবে। এছাড়া ওয়াইম্যাক্স সেবাদানকারী বাংলালায়ন, কিউবি ও ওলো নিলামে অংশ নেয়ার সুযোগ পাচ্ছে।
এ সংশোধন প্রক্রিয়া নিয়ে জানতে চাইলে মোবাইল অপারেটারদের সংগঠন অ্যামটবের মহাসচিব টিআইএম নুরুল কবির কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানান। তিনি বলেন, ‘আগে গাইডলাইন প্রকাশিত হোক তারপর এ নিয়ে প্রতিক্রিয়া দেয়া যাবে।’
উল্লেখ্য, দ্বিতীয় প্রজন্মের মোবাইল ফোন সেবার জন্য ব্যবহৃত ১৮০০ মেগাহার্টজ ব্যান্ডউইথের অব্যবহৃত ১০ দশমিক ৬ মেগাহার্টজ দুই ব্লকে এবং তৃতীয় প্রজন্মের মোবাইল ফোনসেবার জন্য ব্যবহৃত ২১০০ মেগাহার্টজ ব্যান্ডের অব্যবহৃত ১৫ মেগাহার্টজ তরঙ্গ তিন ব্লকে নিলামের মাধ্যমে বিক্রির সিদ্ধান্ত নেয় বিটিআরসি। এজন্য গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে একটি গাইডলাইন প্রকাশ করা হয়।
নিলামের দিন ধার্য করা হয় ৩০ এপ্রিল। সব অপারেটরদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে দু’বার তারিখ পরিবর্তন করে প্রথমে ২০ মে ও পরে ২৭ মে নিলাম করতে চায় বিটিআরসি । তবে এই সময়ে বেসরকারি কোনো ফোন অপারেটর নিলাম প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে আগ্রহ দেখায়নি।
মোবাইল কোম্পনিগুলো চিঠির মাধ্যমে বিটিআরসিকে জানায়, সিম প্রতিস্থাপন কর (এসআরটি) সংক্রান্ত মামলার সমাধান, বিদ্যমান টেলিযোগাযোগ বিধিমালার সংস্কার, তরঙ্গ ব্যবহারে নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করাসহ বিদ্যমান কয়েকটি সমস্যার সুরাহা না হওয়া পর্যন্ত তারা নিলামে অংশ নেবে না।
অপারেটরদের দাবির মুখে গত ৬ মে বিটিআরসি এক বিজ্ঞপ্তিতে নিলাম প্রক্রিয়া বাতিল করে। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, তরঙ্গের নিলাম সুষ্ঠুভাবে আয়োজনের উদ্দেশে এর নীতিমালায় সংশোধনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। নতুন নিলামে অংশ নেয়ার তারিখ ও সংশোধিত নীতিমালা শিগগিরই প্রকাশ করা হবে।
নিলাম বাতিলের নেপথ্যে
গত ১৯ ফেব্রুয়ারি তরঙ্গ নিলামের জন্য যে গাইডলাইন প্রকাশ করা হয় তাতে বৈষম্য ছিল বলে অভিযোগ এনেছিল অনেক ফোন কোম্পনি।
প্রকাশিত নীতিমালার শর্ত অনুসারে অন্যতম বৃহৎ অপারেটর গ্রামীণফোনের টুজি নিলামে অংশগ্রহণ নিতে পারতো না। এ কারণেই নীতিমালা সংশোধনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
ফেব্রুয়ারিতে প্রকাশিত গাইডলাইন অনুসারে, যার যে ব্যান্ডের তরঙ্গ রয়েছে সে অপারেট সেই ব্যান্ডের নিলামে অংশ নেবে। অর্থাৎ যে অপারেটরের ২১০০ মেহাহার্টজ ব্যান্ডের তরঙ্গ নেই, তারা এ তরঙ্গের নিলামে অংশ নিতে পারবে না । একইভাবে ২১০০ বা ১৮০০ কোনো ব্যান্ডের তরঙ্গ না থাকায় দেশের সবচেয়ে পুরনো মোবাইল কোম্পানি সিটিসেল (সিডিএমএ প্রযুক্তিতে পরিচালিত) নিলামে অংশ নিতে পারত না ।
গাইডলাইনে আরও বলা ছিল, যাদের জিএসএম ব্যান্ডে (১৮০০ মেগাহার্টজ) ২০ মেগাহার্টজের বেশি তরঙ্গ বরাদ্দ রয়েছে তারা সরাসরি নিলামে অংশ নিতে পারবে না। তবে প্রথম ধাপের নিলামে যদি কোনো তরঙ্গ ব্লক বিক্রি না হয় তাহলে ২০ মেগাহার্টজের বেশি বরাদ্দ পাওয়া কোম্পানি নিলামে অংশ নিতে পারবে। এ শর্তের শিকার দেশের বড় মোবাইল কোম্পানি গ্রামীণফোন। কারণ কোম্পানিটির হাতে টুজির ২০ মেগাহার্টজের বেশি তরঙ্গ রযেছে। টুজির ৯০০ ও ১৮০০ মেগাহার্টজ এবং থ্রিজির ২১০০ মেগাহার্টজ মিলিয়ে কোম্পানিটির কাছে বর্তমানে মোট ৩২ মেগাহার্টজ তরঙ্গ রয়েছে।
তরঙ্গ নিলামের ভিত্তিমূল্যে পরিবর্তন
গত ফেব্রুয়ারিতে প্রকাশিত গাইডলাইনে ১৮০০ মেগাহার্টজ তরঙ্গ নিলামের ভিত্তিমূল্য ধরা হয় তিন কোটি মার্কিন ডলার বা ২৩২ কোটি টাকা (প্রতি মেগাহার্টজ)। আর ২১০০ মেগাহার্টজের ভিত্তিমূল্য ধরা হয় ২ কোটি ২০ লাখ ডলার বা প্রায় ১৭০ কোটি টাকা ।
সংশোধীত নীতিমালায় থ্রিজি ও টুজি দুই ধরনের তরঙ্গেরই ভিত্তি মূল্য ২ কোটি ৫০ লাখ ডলার নির্ধারণ করা হয়েছে।
২০১৩ সালের সেপ্টেম্বরে এক নিলামে থ্রিজির জন্য ব্যবহৃত ২১০০ মেগাহার্টজ ব্যান্ডে ২৫ মেগাহার্টজ তরঙ্গ বিক্রি হয়। এসময় প্রতি মেগাহার্জ তরঙ্গ দুই কোটি ১০ লাখ ডলারে বিক্রি করা হয়। এর আগে ২০১২ সালে ১৮০০ মেগাহার্টজ ব্যান্ডে প্রতি মেগাহার্জ সর্বোচ্চ প্রায় দুই কোটি ৮৩ লাখ ডলারে বিক্রি হয়।
নতুন কোম্পানির অংশ নেয়ার সুযোগ
মোবাইল কোম্পানিগুলোর চাপে বিটিআরসি নিলাম গাইডলাইন পরিবর্তন করছে। তবে সরকার বলছে, ‘তরঙ্গের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত, উন্নত গ্রাহক সেবা ও প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশ সৃষ্টির জন্য নিলাম গাইড লাইনে সংশোধন আনা হচ্ছে। এতে দেশের সব মোবাইল অপারেটর, ব্রডব্যান্ড ওয়ার্যিলাস ইন্টারনেট সেবাদাতা (বিডাব্লিউএ) প্রতিষ্ঠান- যারা ওয়াইম্যাক্স নামে পরিচিত ও নতুন প্রতিষ্ঠান নিলামে অংশ নিতে পারবে ’
সংশোধিত গাইডলাইন অনুসারে দেশের সব মোবাইল ফোন অপারেটর (টুজি ও থ্রিজি লাইসেন্সধারী), ওয়াইম্যাক্স প্রতিষ্ঠান ও আগ্রহী নতুন কোম্পানি থ্রিজি তরঙ্গের (২১০০ মেগাহার্জ) নিলামে অংশ নিতে পারবে। টুজি তরঙ্গে (১৮০০ মেগাহার্জ) নিলামে মোবাইল অপারেটররা সরাসরি অংশ নিতে পারে। ওয়াইম্যাক্স অপারেটর বা নতুন আগ্রহী কোম্পানি থ্রিজির নিলামে বিজয়ী হলেই কেবল টুজির নিলামে অংশ নিতে পারবে।
অর্থাৎ এবার সিটিসেল নিলামে অংশগ্রহণের সুযোগ পাচ্ছে। একই সঙ্গে গ্রামীণ ফোনও সরাসরি নিলামে অংশ নিতে পারবে। এছাড়া ওয়াইম্যাক্স সেবাদানকারী বাংলালায়ন, কিউবি ও ওলো নিলামে অংশ নেয়ার সুযোগ পাচ্ছে।
কে কয়টি তরঙ্গ ব্লক কিনতে পারবে
১৮০০ মেগাহার্টজ ব্যান্ডউইথের অব্যবহৃত ১০ দশমিক ৬ মেগাহার্টজ দুই ব্লকে এবং ২১০০ মেগাহার্টজ ব্যান্ডের অব্যবহৃত ১৫ মেগাহার্টজ তরঙ্গ তিন ব্লকে নিলামের মাধ্যমে বিক্রি করা হবে। তবে সবাই সব ব্লকের নিলামে অংশ নিতে পারবে না। নতুন অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠান ও টুজি লাইসেন্সধারী অপারেটর যাদের কাছে ২১০০ মেগাহার্জ ব্যান্ডের তরঙ্গ নেই তারা থ্রিজি নিলামের তিন ব্লকেই অংশ নিতে পারবে। অর্থাৎ সিটিসেল, ওয়াইম্যাক্স অপারেটর ও নতুন আগ্রহী কোম্পানি তিন ব্লকের নিলামেই অংশ নিতে পারবে।
যেসব অপারেটরের ২১০০ মেগাহার্জ ব্যান্ডের ৫ মেগাহার্জ তরঙ্গ আছে তারা থ্রিজি নিলামের দুই ব্লকে অংশ গ্রহণের সুযোগ পাবে। অর্থাৎ বাংলালিংক, রবি ও এয়ারটেল দুটি ব্লকের নিলামে অংশ নেবে।
আর যাদের এই ব্যান্ডের ১০ মেগাহার্জ তরঙ্গ আছে তারা একটি ব্লকের নিলামে অংশ নিবে । এর মানে গ্রামীণফোন নিলামে অংশ নিয়ে সর্বোচ্চ ৫ মেগাহার্জ তরঙ্গ কিনতে পারবে।
কার কাছে কত তরঙ্গ
রাষ্ট্রায়াত্ব টেলিটকসহ বর্তমানে দেশে ৬টি মোবাইল কোম্পানি আছে। এরমধ্যে সিটিসেল একমাত্র সিডএমএ (কোড ডিভিশন মাল্টিপল অ্যাকসেস ) প্রযুক্তি ব্যবহার করছে। বাকি পাঁচটি জিএসএম (গ্লোবাল সিস্টেম ফর মোবাইল) প্রযুক্তি নির্ভর। ছয় অপারেটরের মধ্যে থ্রিজি লাইসেন্স প্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান ৪টি-গ্রামীণফোন, রবি, বাংলালিংক ও এয়ারটেল । তবে টেলিটকও থ্রিজি সেবা দেয়।
ব্রডব্যান্ড ওয়্যারলেস অ্যাকসেস (বিডব্লিউএ) লাইসেন্সধারী কোম্পানি তিনটি। এরা হলো বাংলালায়ন. কিউবি ও ওলো।
এরমধ্যে টেলিটকের হাতে রয়েছে ২৫ দশমিক ২০ মেগাহার্টজ তরঙ্গ । যার মধ্যে ৯০০ মেগাহার্জ ব্যান্ড (টুজি) এ ৫.২০ মেগাহার্জ, ১৮০০ মেগাহার্জ ব্যান্ড (টুজি) ১০ মেগাহার্জ এবং ২১০০ মেগাহার্জ ব্যান্ড (থ্রিজি) এ ১০ মেগাহার্জ তরঙ্গ ব্যবহার করে প্রতিষ্ঠানটি।
দেশের সবচেয়ে বড় অপারেটর গ্রামীণফোন ৩২ মেগাহার্টজ তরঙ্গ ব্যবহার করে গ্রাহককে ফোন সেবা দিচ্ছে। এরমধ্যে ৯০০ মেগাহার্জ ব্যান্ড এ ৭.৪ মেগাহার্জ, ১৮০০ মেগাহার্জ ব্যান্ড ১৪.৬ মেগাহার্জ এবং ২১০০ মেগাহার্জ ব্যান্ড এ ১০ মেগাহার্জ তরঙ্গ ব্যবহার করে জিপি।
বাংলালিংক ২০ মেগাহার্টজ তরঙ্গ ব্যবহার করে । যারমধ্যে ৯০০ মেগাহার্জ ব্যান্ড এ ৫ মেগাহার্জ, ১৮০০ মেগাহার্জ ব্যান্ড ১০ মেগাহার্জ এবং ২১০০ মেগাহার্জ ব্যান্ড এ ৫ মেগাহার্জ তরঙ্গ ব্যবহার করে অপারেটরটি।
ভারতের প্রতিষ্ঠান এয়ারটেলও ২০ মেগাহার্টজ তরঙ্গ ব্যবহার করে । যারমধ্যে ৯০০ মেগাহার্জ ব্যান্ড এ ৫ মেগাহার্জ, ১৮০০ মেগাহার্জ ব্যান্ড ১০ মেগাহার্জ এবং ২১০০ মেগাহার্জ ব্যান্ড এ ৫ মেগাহার্জ তরঙ্গ ব্যবহার করে কোম্পানিটি।
মালয়েশিয়াভিত্তিক আজিয়াটা গ্রুপের প্রতিষ্ঠান রবির হাতে রয়েছে ১৯ দশমিক ৮০ মেগাহার্টজ তরঙ্গ। যারমধ্যে ৯০০ মেগাহার্জ ব্যান্ড এ ৭.৪ মেগাহার্জ, ১৮০০ মেগাহার্জ ব্যান্ড ৭.৪ মেগাহার্জ এবং ২১০০ মেগাহার্জ ব্যান্ড এ ৫ মেগাহার্জ তরঙ্গ ব্যবহার করে রবি।
সিটিসেলের অনুকূলে ৮০০ মেগাহার্টজ ব্যান্ডে ১০ মেগাহার্টজ তরঙ্গ বরাদ্দ দেয়ার কথা থাকলেও কোম্পানিটি দাবি করে তার সর্বোচ্চ সাড়ে আট মেগাহার্টজ তরঙ্গ বরাদ্দ পেয়েছে।
বিডব্লিউএ লাইসেন্সের আওতায় কিউবি ২৩০০ মেগাহার্জ ব্যান্ডের ৩৫ মেগাহার্টজ তরঙ্গ ও বাংলা লায়ন ২৫০০ মেগাহার্জ ব্যান্ডে ৩৫ মেগাহার্জ তরঙ্গ ব্যবহার করে । অন্য অপারেটর ওলো ৮০০ ব্যান্ডের ২০ মেগাহার্জ, ৩৫০০ ও ২৪০০ মেগাহার্জ ব্যান্ডেও তরঙ্গ রয়েছে ওলোর কাছেভ এছাড়া এ তিন অপারেটর ২৬০০ ব্যান্ডের ২০ মেগাহার্টজ তরঙ্গ বরাদ্দ পেয়েছে।
বর্তমানে তরঙ্গে প্রতি মেগাহার্টজে গ্রামীণফোন ১৬ লাখ, বাংলালিংক প্রতি মেগাহার্টজে ১৫ লাখ, রবি ১৩ লাখ, এয়ারটেল ৩ লাখ ৭০ হাজার ও টেলিটক ১ লাখ ৫০ হাজার গ্রাহককে সেবা দেয়।
তথ্য অনুসারে, দেশের মোবাইল ফোনের মার্কেট ৪২ দশমিক ১ শতাংশ শেয়ার শেয়ার গ্রামীণফোনের দখলে । ২৫ শতাংশ শেয়ার নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে বাংলালিংক । অন্য অপারেটরদের মধ্যে রবির ২১ দশমিক ৬ শতাংশ, এয়ারটেলের ৭ দশমিক ২ শতাংশ, , সিটিসেলের শূন্য দশমিক ৯ শতাংশ, ও টেলিটকের ৩ দশমকি ১ শতাংশ মার্কেট শেয়ার রয়েছে।
তবে রবি ও এয়ারটেলের একিভূত হওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। এটি হলো তারা দ্বিতীয় বৃহত্তম কোম্পানি হিসেবে আর্বিভূত হবে। তাই সরকার এদের একিভূত প্রক্রিয়া সম্পন্নের আগেই তরঙ্গে নিলাম করে ফেলতে চায়।
সুত্রঃ বাংলামেইল২৪.কম
পাঠকের মতামত: